গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি ছাত্রলীগের
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় গণহত্যার দিবস (২৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগ। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে গণহত্যা নিয়ে আলাদা একটি অনুচ্ছেদ থাকা উচিত। আমরা যখন দেশীয় আইনে এটি নিশ্চিত করতে পারব, তখন আন্তর্জাতিক আইনে তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী, বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বিষয়টি আরও বেশি মানুষের জন্য সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ হতো। ২১ ফেব্রুয়ারিকে যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। মঙ্গলশোভা যাত্রার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছি। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি আদায় করে ছাড়বে।
গণহত্যাকে যারা তাচ্ছিল্য করে রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়ন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আজকে স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের অত্যন্ত লজ্জার সঙ্গে দেখতে হয় এখনো কিছু দেশবিরোধী অপশক্তি একাত্তরের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধকে ‘গণ্ডগোল’ বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যারা এই কথা বলে তাদের জন্মের মধ্যেই গণ্ডগোল রয়েছে।
এ সময় স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সংবিধানে গণহত্যার বিষয়টিও উল্লেখ করার দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতারা।