জাতীয় কবির গল্প নিয়ে মাসুদ চৌধুরী
মোহাম্মদ সেলিম মিয়া
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গল্প নিয়ে ঈদের বিশেষ নাটক ‘ঈদল ফেতর’ নির্মাণ করছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মাসুদ চৌধুরী। অভিনেতা আবুল হায়াতের চিত্রনাট্যে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন বাঁশরী একটি নজরুলচর্চা কেন্দ্র। ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদ রাত আটটায় এটিএন বাংলায় প্রচার হবে নাটকটি।
রমজানের রোজার শেষে আসছে খুশির আর আনন্দের ঈদুল ফেতর। এক মুসাফির ফকির বেরিয়েছেন ফেতরা আদায়ে। মুখে তার আল্লাহর প্রশান্তির গান। সব জায়গায় ফেতরা মিললেও এলাকার দাম্ভিক জমিদার তাকে ফিরিয়ে দিলেন এই অজুহাতে যে তিনি- আল্লাহর নামে রোজা রাখেন, নামাজ পড়েন, হজ্ব করেন- কিন্তু ফেতরা দেন না। কারণ তিনি এর প্রয়োজন বোধ করেন না। ফকির বাবা তাকে অনেক বোঝালেন-এটা দিতেই হবে নইলে আল্লাহপাক তার রোজা কবুল করবেন না। জমিদার তা মানতে রাজি নন। দুজনের কঠিন বাহাস হয় এ নিয়ে। খালি হাতেই বিদায় নিতে হয় ফকিরকে। অন্যদিকে, ঈদের দিন ভোরে গোসল করতে যায় দীঘিতে-জমিদার পুত্র সালাউদ্দিন। তারপর সে নিখোঁজ। জমিদারের একমাত্রপুত্র হারিয়ে যাওয়ায় সারা এলাকা তোলপাড় করে তোলেন তিনি এবং যথাসময়ে আবির্ভাব হয় ফকির বাবার। জমিদার এবার তার পায়ে ধরে ক্ষমা চান এবং পুত্রকে ফেরত পাইতে ভিক্ষা চান। ফকির বলেন ক্ষমা চাইবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে। তাই করেন জমিদার এবং জমিদার বুঝতে পারেন নামাজ রোজার পাশাপাশি পার্থিব সম্পদ ও সম্পত্তি সৎ কাজে ব্যয় করতে হবে আল্লাহ-তায়ালার আদেশের কথা মনে রেখে। কারণ দান খয়রাতে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। ফলে জমিদার তার পার্থিব সম্পদ ও সম্পত্তি একমাত্র পুত্রের বিনিময়ে গরীব অসহায় ও দুখী মানুষদের বিলিয়ে দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন। এক সময় জমিদার পুত্র ফিরে আসেন বাবা মায়ের কোলে। ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন শতাব্দী ওয়াদুদ,আজাদ আবুল কালাম,দীপা খন্দকার,শফিক খান দিলু, রিমু রোজা খন্দকার ও শিশুশিল্পী সুষময় প্রমুখ।
২৭ মার্চ টাঙ্গাইলের মনোরম লোকেশনে নাটকটির দৃশ্য চিত্রায়নের কাজ শুরু হবে বলে জানালেন নির্মাতা মাসুদ চৌধুরী। কথা প্রসঙ্গে এই নির্মাতা জানান, এতদিন নজরুলের গল্প ও উপন্যাস নিয়ে নাটক নির্মাণ হলেও কবির নাটিকা নিয়ে নাটক নির্মাণ এই প্রথম। সবশ্রেণীর দর্শকদের কাছে নাটকটি খুব ভালো লাগবে বলেও জানান নাটকটির পরিচালক।