শাকিব খানের সঙ্গে নেই শিল্পী সমিতি
ইউটিউবার আর কয়েকজন সাংবাদিক নিয়েই গ্যারেজে সারলেন সংবাদ সম্মেলন
বিনোদন প্রতিবেদক
শাকিব খানের সঙ্গে নেই শিল্পী সমিতি। ইউটিউবার আর স্বল্প সাংবাদিক নিয়েই গ্যারেজে সারলেন সংবাদ সম্মেলন। যখন দেশের বাইরের সুপারস্টার নায়কদের দেখার জন্য উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ে তখন দেশীয় সুপারস্টারের পাশে ভিড় তো দুরের কথা তেমন কোন সাংবাদিক চোখে পড়লো না। যেখানে নায়িকা পরীমনি আর জায়েদ খানের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এর থেকে বেশি সাংবাদিক দেখা মিলেছিল।
মূলত এই নায়কের পুলিশ স্টেশন আর ডিবিসহ একাধিক জায়গায় দৌড়েও শেষ হলো না পথ। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকেই দাঁড়াতে হলো কোর্টের বারান্দায়! যদিও তার এ্যাডভোকেট দাবি করছেন তাদের তথ্য সত্যতার ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও কোর্টের মামলায় থানার তদন্ত হবার পরই এ ধরনের মামলাগুলি হয়ে থাকে। যদিও আসল কাগজপত্রের লিখনিতেই মামলার তথ্য বোঝা যেতো।
মূল ভয়ে আছে সেই অস্ট্রেলিয়ার ২৬ পৃষ্ঠার মামলার নথি নিয়ে। পক্ষে রেখেছেন সেই সিনেমার পরিচালককে। যদিও ফিরে দেখার মতো সেই পরিচালককে একদিন হতাশ হয়ে আরেকটি দুঃখের স্ট্যাটাস দিতে হবে। কারণ এই সুপারস্টার নায়কের এসব দেখতে দেখতে সিনিয়র সাংবাদিক থেকে শুরু করে গোটা ইন্ডাস্ট্রিজের লোকদের মুখস্থ।
এদিকে আজ নিজের বাসার গ্যারেজেই স্বল্প সংখ্যক সাংবাদিকের নানান প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। প্রযোজক রহমত উল্লার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে দুটি মামলা করেন শাকিব খান। এরই প্রেক্ষিতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় গুলশানের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে শাকিব খান বলেন,
‘আমরা শিল্পী। আমরা কেন এসব মামলা-হামলায় জড়াব? আমরা কেন এভাবে হ্যাশেল করে কোর্টে মামলা করতে যাব? আমাদের কাজ অভিনয় করা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অসত্য অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে ডিবি অফিসে গিয়েছি। আজকে আদালতে গিয়েছি। তারা আমার মামলাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই ঘটনার পেছনে আর কারা কারা আছে ইনভেস্টিগেশনে সব বেরিয়ে আসবে। প্রয়োজনে রহমত উল্লাহকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ধরে আনা হবে―এমনটাই জানিয়ে দেশের এই শীর্ষনায়ক বলেন, ‘শুধু রিল কিংবা পর্দায় নয়, রিয়েল লাইফেও যারা সত্যের পক্ষে থেকে লড়াই করেন, প্রতিবাদ করেন, তাদেরই জয় হয়। আজকেও আমাদের জয় হলো। যারা অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, তারা কিন্তু পালিয়ে গেছে। প্রয়োজনে তাকে বিদেশ থেকে ধরে আনা হবে।’
কিন্তু এসবের পক্ষে থাকতে দেখা যায়নি চলচ্চিত্রের মাদার সংগঠন প্রযোজক সমিতির কাউকে। বরং কেন রহমত উল্লাহকে ভুয়া আর বাটপার প্রযোজক বলা হলো সেই কারণে তার নামে উল্টো শোকজ নোটিশ দেয়াসহ আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে কারণ দর্শনের উত্তর দিতে বলা হয়েছে নায়ক শাকিব খানকে।