মোহমুক্ত হয়ে ইতিহাস চর্চা করা উচিত : বাংলাদেশ ন্যাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে এবং মোহমুক্ত হয়ে সঠিক ইতিহাস রচনা ও চর্চা করতে হবে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে যার যতটুকু অবদান আছে তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়া উচিত। তাদের প্রতি জাতি হিসাবে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। মনে রাখতে হবে অকৃতজ্ঞ জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারেনা, তবে কৃতজ্ঞতাবোধ একটি জাতিকে বহুদূর নিয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ২৩ মার্চ ন্যাপ ঘোষিত ‘স্বাধীন পূর্ববঙ্গ দিবস’ স্মরণে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগনকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ডাক দেয়ার আহ্বান জানান মওলানা ভাসানী। সেই সময় ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে পল্টনে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ন্যাপ ‘স্বাধীন পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করে। সেখান থেকেই ন্যাপ’র তৎকালীন ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়া পল্টন ময়দানে দলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার দাবী তুলে ধরেন এবং পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে ফেলেন। সে সমাবেশে যাদু মিয়া বলেন, ‘ন্যাপ স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসনামা-সমঝোতায় বিশ্বাস করে না।’ আজ ইতিহাস থেকে সেই ঘটনা সহ অনেক ঘটনাই মুছে মুছে ফেলা হয়েছে। যা কখনোই শুভ লঙ্খন নয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্টি বা দলের একক অবদান দাবী করে প্রকারান্তরে যারা ইতহাসকে বিকৃতি করছে তাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না। জাতি হিসাবে আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আর শ্রেষ্ঠ অর্জনকে অর্জন যে মওলানা ভাসানীসহ যারাই জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তৈরী করেছেন তাদের সকলকে যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন জাতি হিসাবে আমাদের কর্তব্য। তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস নির্মান করতে হবে নির্মোহভাবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট ভবন ও সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও পাকিস্তানের পতাকা ওড়েনি। স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে সে দিন ‘প্রতিরোধ দিবস’ পালিত হয়। আর মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ন্যাপ ‘পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করে।