নিজস্ব প্রতিবেদক
দুই মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে এ সময়ের মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে তিনবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কেবিনে চিকিৎসা চললেও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। আজ সকাল ৯টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কথা বলবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাঁকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার পর একটিতে রিং পরানো হয়েছে। লিভার ও হার্ট ছাড়াও কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত ও চোখের ব্যথাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত তিনি। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁর সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেই হয় সিসিইউতে, না হয় আইসিইউতে নেওয়া হচ্ছে। আবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কেবিনে নেওয়া হয়। এভাবেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ ও পরামর্শ দেওয়ার পরও রাজনৈতিক বাধার কারণে তাঁকে বিদেশে ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স হেলথ সেন্টারে’ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে সম্ভব ও সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা তাঁকে দেওয়া শেষ হয়েছে। এরচেয়ে বেশি আর এখানে কিছু করা সম্ভব নয়। তবে যেহেতু তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই দেশে রেখে জোড়াতালি দিয়ে তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যখন যে রোগ দেখা দিচ্ছে, ওষুধ দিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে এ অবস্থা থেকে উন্নতি লাভ করে তিনি কবে হাসপাতাল থেকে আবার বাসায় ফিরে যেতে পারবেন তা বলা সম্ভব নয়।