নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের ১০ বছরের ছোট্ট সিফাত। গ্রামের বাজারের একটি চায়ের দোকানে কাজ করে। দিনে তার আয় ৫০ টাকা। সে টাকা দিয়েই চলছিলো তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা এবং সংসারের খরচ। একটি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারের পর মনে দাগ কাটে এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেনের। ডিজি’র নির্দেশে সিরাজগঞ্জ থেকে মা ও ছেলেকে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। ইতোমধ্যে এই পরিবারের হাতে নগদ দুই লাখ টাকা দিয়ে পাশে দাড়িয়েছে র্যাব। এর বাইরেও সিফাতের পড়াশোনার জন্য প্রতি মাসে আর্থিক সহায়তা এবং তার মাকে র্যাবের তত্ত্ববধানে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রসুলপুর গ্রাম। সেখানেই বাস করেন শিল্পী খাতুন নামে এক নারী ও তার একমাত্র ছেলে সিফাত। বাবা হারা সিফাতের মাও অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরে। যখন সুযোগ ছিলো তখন মা ও ছেলের সংসার চলতো অন্যের বাড়িতে কাজ করে। কিন্তু নানাবিধ অসুখে জর্জরিত সিফাতের মা এখন শয্যাশায়ী।
র্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন সিফাতের কাছে জানতে চান, মাসে কত টাকা হলে সে পড়াশুনা করতে পারবে। উত্তরে সে যা বলে তা শুনে হতবাক সেখানে উপস্থিত সবাই! ছোট্ট সিফাত জানায়, ৫০০ টাকা হলে সে চলতে পারবে।
র্যাব ডিজি জানান, সমাজের সামর্থ্যবানরা যদি অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, তবে বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে সময় লাগবে না।
র্যাবের থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার পর সিফাতের মা শিল্পী খাতুন বলেন, সব কিছুই তার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এটা তিনি কখনও আশাই করেননি।