মোহাম্মদ সেলিম মিয়া
হারানো দিনের গানের প্রতি শ্রোতাদের আবেদন চিরকালীন। আর শিল্পী যদি হয় মেলোডিয়াস কণ্ঠের তাহলে সেই আবেদনের কোন সীমারেখা থাকে না। গানের কথা ও সুরের বৈচিত্র্যের কারণে হারানো দিনের গানের জনপ্রিয়তায় একটুও ভাটা পড়েনি। শিল্পী মনিরা রওনক বুবলির সুরের যাদুতে সেই চিত্রই লক্ষনীয় ছিলো
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৭ নাম্বার গ্যালারির লবির উন্মুক্ত মঞ্চে। কণ্ঠ থেকে সুরের সবটুকু সুধা ঢেলে দিয়ে শিল্পী মাতালেন অনুষ্ঠানে আগত সুরপিয়াসীদের।
পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় সেবা নারী ও শিশুকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে ১১দিনের চলমান জামদানি প্রদর্শনীর ৭ম দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এই সুরের আসর।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গানের পাখি মনিরা রওনক বুবলি পরিবেশন করেন কালজয়ী গান ‘নিঝুমও সন্ধ্যায় শ্রান্ত পাখিরা’। এরপর তিনি একে একে গেয়ে শোনান ‘অলিরও কথা শুনে, আমি শুনেছি সেদিন তুমি, আষাঢ় শ্রাবণ মানেনাতো মন, যেভাবে তুমি সকাল দেখো সূর্য কিন্তু একটাই, দেখেছো কি তাকে ওই নীল নদীর ধারেসহ উপমহাদেশের কালোত্তীর্ণ কয়েকটি গান।
পরিবেশনার পরতে পরতে অনুষ্ঠানস্থলে আগত সুরপিয়াদের সুরের চাদরে ঢেকে দেন কোকিলকণ্ঠী এই গায়িকা। করতালির বৃষ্টিতে দর্শক শ্রোতারাও শিল্পীর প্রতি অভিনন্দনের ঢালি ছুঁড়ে দিতে কৃপণতা করেননি। প্রতিটি পরিবেশনায় সঙ্গীতের স্বর্ণালী দিনের স্মৃতিগুলো মূর্ত হয়ে উঠে। হেমন্ত, মিতালী মুখার্জি ও মৌসুমী ভৌমিকদের মতো খ্যাতিমান শিল্পীদের গানগুলোর অনবদ্য গায়কীতে সুরের প্রতি নিজের দক্ষতা ও নান্দনিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটান শিল্পী মনিরা রওনক বুবলি।
লবির উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গ্যালারিতে জামদানির সৌন্দর্য উপভোগে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর দূর-দূরান্ত থেকে আগত শিল্পানুরাগিরা। গ্যালারিতে জামদানির প্রদর্শনীর পাশাপাশি লবির উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবশ্রেণীর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে প্রদর্শনীর গ্যালারি।
২৯ জুলাই শেষ হবে ১১দিনের এই প্রদর্শনী।