ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হেরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের সাবেক এক সেনা কমান্ডার।
রোববার (১৭ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইজাক ব্রিক নামের ওই সেনা কমান্ডার বলেছেন, আপনি দীর্ঘদিন মানুষের কাছে মিথ্যা বলতে পারবেন না। গাজা উপত্যকায় এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে কি হচ্ছে তা শিগগিরই আমাদের মুখের ওপর বিস্ফোরিত হবে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল কোনো আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। যা গাজা উপত্যকার যুদ্ধের চেয়ে কয়েক হাজার গুণ গুরুতর এবং কঠিন হবে।
সাবেক সামরিক কমান্ডার চিফ অফ স্টাফ হার্জি হালেভির সমালোচনা করে বলেন, তিনি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন। তিনি অনেক আগেই স্থলভাগের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গেছি এবং আমরা বিশ্বে আমাদের মিত্রদেরও হারাতে যাচ্ছি। যা ইসরায়েলের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠার পর এটিই সবচেয়ে গুরুতর কেলেঙ্কারি।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে দলখদার বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ৭৪ হাজার।
হামাসের হাতে বন্দী ১৩০ জনেরও বেশি জিম্মিকে ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করতে অস্বীকার করেছে।
ইজাক ব্রিক বলেন, হামাসের হাতে বন্দী কিছু অপহরণকারীকে যদি তার আপনজনের কাছে জীবিত ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে জনসাধারণের কাছে এই যুদ্ধ ইসরায়েলের সবচেয়ে খারাপ ব্যর্থতা বলে বিবেচিত হবে।
শত দিন ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২৩ লাখ গাজাবাসীর প্রায় ৮৫ শতাংশই হারিয়েছে তাদের সর্বস্ব। ধ্বংস করা হয়েছে গাজার প্রায় ৩ লাখ ৫৯ হাজার ঘরবাড়ি।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে তার বাহিনী গণহত্যার কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের গ্যারান্টি চায়।