নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণ ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘দেশের যোদ্ধা- বন্ধু সবার’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গতকাল বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার নিজ বাসভবনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আজিমের পরিচালনায় স্মরনসভায় অংশ নিয়ে তার স্মৃতিচারণ করেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. কাশেম চৌধুরী, ছোট বোন সেলিনা চৌধুরী মিলি, উবিনিকের নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার, অর্থনীতিবিদ বিনয়ক সেন, গণস্বাস্থ্যের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইদুজ্জামান অপু প্রমুখ। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা তার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা জানা-অজানা স্মৃতির কথা বর্ণনা করেন।
এসময় নোবেল বিজয়ী ড. মোহম্মদ ইউনুস, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, এমিরেটস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালাহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল্লাহ, অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. আলতাফুন্নেসা, ট্রাস্টি সন্ধা রায়, চ্যানেল আই-এর শাইখ সিরাজ, নিউ এজ পত্রিকার প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বাদল, নারী নেত্রী খুশি কবির, ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরীর ছোট ভাই ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নাজিম উল্লাহ, কর্নেল (অব:) নাসির চৌধুরী, ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক, কন্যা বৃষ্টি চৌধুরী, ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও কবি ফরহাদ মজহার, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণ-অধিকার পরিষদের রাশেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক বলেন, তার সঙ্গে থাকাটা খুব সহজ ছিল না। আমরা তর্ক করতাম। আবার একসঙ্গে নাটক দেখতে যেতাম। জাফরুল্লাহ চৌধুরী নাটক দেখতে খুব ভালবাসতেন। নাচ-গান খুব একটা ভালবাসতেন না। একবার তাকে নিয়ে নাচ দেখতে গিয়েছিলাম, উনি আমাকে সন্তুষ্ট করতে গিয়েছিলেন। আমার পাশের আসনে বসে ঘুমিয়ে নাক ডাকছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি কাজ পাগল ছিলেন। তাই এত আনন্দ আমরা করতে পারিনি। সন্তানদের সময় দিতে পারতেন না। কিন্তু খুব ভালবাসতেন।
তিনি আরো বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অন্তিম সময়ে গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকরা বড় কোনো হাসপাতালে নিতে চেয়েছিলেন। বলেছিলাম, চোখ খুলে যদি তিনি দেখেন, তাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাহলে জানতে চাইবেন, কে নিল এই সিদ্ধান্ত।