মোহাম্মদ সেলিম মিয়া
নিজের আইটেম গার্ল ইমেজ থেকে বেরিয়ে ঈদের পর ভিন্নধারার চলচ্চিত্র “আজান” এর ব্যতিক্রমী চরিত্রে পারফর্ম করলেন সময়ের চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রী রুবিনা আলমগীর। ৭০ এর দশকের গল্পের প্রেক্ষাপটে নির্মানাধীন এই ছবিটিতে বাউল শিল্পী চরিত্রে কাজ করলেন প্রতিশ্রুতিশীল এই গ্ল্যামারগার্ল। ঈদের চতুর্থ দিন গাজীপুরের কালীগঞ্জের মনোরম ও নয়নাভিরাম লোকেশনে গানটির চিত্রায়ণ সম্পন্ন হয়। চরিত্রের প্রয়োজনে ছবিটিতে মেকাপ ছাড়া কাজ করেছেন বলে জানালেন উদিয়মান এই মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী। ৭০ এর দশকের কুসংস্কার ও তৎকালীন প্রেক্ষাপটে নির্মানাধীন এই চলচ্চিত্রটি সবশ্রেনীর দর্শকদের কাছে সমাদৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রুবিনা আলমগীর। ছবিটিতে নিপুন ও নাদের খান সহ জনপ্রিয় শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। নির্মানাধীন এই ছবিটিতে ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজের গানে কন্ঠ মিলিয়েছেন প্রমিজিং এই গ্ল্যামারগার্ল।
নতুনরূপে দর্শকদের সামনে হাজির হওয়ার প্রসঙ্গে রুবিনা আলমগীর বলেন, খুব ভালো লাগছে ঈদের পর পর ডিফারেন্ট টাইপের একটি ভালো মানের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি। এর আগে আমি আইটেম গার্ল হিসেবে অনেকগুলো ছবিতে কাজ করলেও এই প্রথম ভিন্ন চরিত্রে কাজ করেছি। সমাজের বাস্তবতা ও নানা ধরনের কুসংস্কার ছবিটিতে তুলে ধরা হয়েছে। ৭০ এর দশকের মানুষের জীবনাচার তুলে ধরতে গিয়ে সাদামাটা সুতি শাড়ি ও মেকাপ ছাড়া কাজ করেছি। এই কাজটি আমার ক্যারিয়ারে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছি।
এর আগে রুবিনা আলমগীর আরো প্রায় অর্ধডজন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো- ইফতেখার চৌধুরীর ” রাজত্ব” আমিনুল ইসলাম বাচ্চুর “ফুলজান” মোহাম্মদ ইসলামের ” শেষ কথা”, বাজি, পাহাড়ি কন্যা, কবি ইত্যাদি।
বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও কাজ করেছেন উদিয়মান এই মডেল,নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে শাহীন কবির টুটুলের ‘লুকোচুরি’, রাশেদ মামুন অপুর ‘টেস্টি ট্যুর’ মোহাম্মদ নুরুদ্দিনের ‘ভাইজান, ইত্যাদি’।
মডেলিং, নাচ ও অভিনয়কে ছাপিয়ে শখের বশে গান লিখে ও গান করেন এই অভিনেত্রী।