বিনোদন প্রতিবেদক
চলচ্চিত্র থেকে নাম, যশ,খ্যাতি ও অর্থ প্রতিপত্তি কামিয়ে এদেশের মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই পেয়েছিলেন এক সময়কার জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় পাড়ি জমিয়েছিলেন অষ্ট্রেলিয়া। দীর্ঘ বিরতি শেষে ফের পা রাখলেন নিজের ভালোবাসার সিনেমাশিল্পে। সব কিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিলো। দর্শকরাও চাইছিলেন তাদের প্রিয় নায়িকার রাজসিক প্রত্যাবর্তন ঘটুক। কিন্তু, বিপত্তি ঘটলো শাবনূরের পাশে হঠাৎ করে জাহাঙ্গীর ওরফে পানি জাহাঙ্গীর নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি। বহু দোষে দুষ্ট ও নানা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত “পানি জাহাঙ্গীর ” হিসেবে পরিচিত বিতর্কিত ওই ব্যক্তিকে শাবনূরের নতুন সিনেমা “রঙ্গনা” র মহরতে বিশেষ অতিথি বানানোতে সমালোচনা ও তোপের মুখে পড়লেন দর্শকপ্রিয় এই নায়িকা। শাবনূরের মতো একজন জনপ্রিয় নায়িকার পাশে কেন একজন বিতর্কিত মানুষ? শাবনূরের সাথে তার সম্পর্কটাই বা কি? কোন স্বার্থে আর কিসের ভিত্তিতে নিজ এলাকা নোয়াখালী ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ধিকৃত এই ব্যক্তিকে বিশেষ অতিথি বানানো হলো এমন বিভিন্ন প্রশ্ন সিনেমার মানুষদের মুখে মুখে। এক কান দু কান করে এটি এখন “টক অব দ্য ফিল্ম” হিসেবে আলোচনা চলছে চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বত্র। শুধু শাবনূরকে নিয়েই নয় ছবিটির পরিচালক নবাগত আরাফাত হোসাইনের সাথেও বিতর্কিত পানি জাহাঙ্গীরের সখ্যতা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। ক্যারিয়ারকে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখিরে উন্নীত করে শাবনূর কি তাহলে ভুল করছেন? আর আরাফাত হোসাইনের মতো একেবারেই নতুন একজন পরিচালকের ছবিতে সম্পৃক্ত না হলে শাবনূরের কি অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে? দর্শকপ্রিয় এই নায়িকা কি তাহলে নতুন করে কোনো কেচ্ছাকাহিনীর জন্ম দিচ্ছেন? বিতর্কিত পানি জাহাঙ্গীরকে মহরত অনুষ্ঠানে শাবনূরের পাশে দেখার পর শাবনূরকে নিয়ে এমন রসালো আলোচনা এখন ফিল্মপাড়ায় চাউর হয়ে শোনা যাচ্ছে।
শনিবার ঢাকা ক্লাবে মহরতের মাধ্যমে ‘রঙ্গনা’ নামের ওই সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে শাবনূরের সাথে একই মঞ্চে দেখা যায় জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই ব্যক্তিকে। যে কিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত পরিচয়ে নানাবিধ প্রতারণার অভিযোগে বিতর্কিত হন। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা যায় এক সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পানি খাওয়াতেন জাহাঙ্গীর। সেই থেকে তার নাম “পানি জাহাঙ্গীর”। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিএস পরিচয় প্রদান করে দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করেছেন অবৈধ অর্থ। গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করা হয় এই নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয় এই প্রতারকের বিষয়ে।
যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা স্বত্তেও এই প্রতারককে অনুষ্ঠানে বার বার প্রধানমন্ত্রীর পিএস বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও শাবনূরের মত নায়িকা কেন এসবের সাথে জড়াচ্ছে এই বিষয়টি মহরত অনুষ্ঠানে আগত প্রায় সকলে মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, শাবনূর কি তাহলে নতুন কোনো ভুল করতে যাচ্ছেন? শাবনূরের অর্জিত সম্মান কি তাহলে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে? সংবাদ মাধ্যমে প্রতারক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও ” পানি জাহাঙ্গীর”কে কেন অতিথি করা হলো বিষয়টির ব্যখ্যা কি শাবনূরসহ “রঙ্গনা” র সাথে সংশ্লিষ্টরা দিতে পারবেন? ”
রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বিতর্কিত ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত জাহাঙ্গীর ওরফে ” পানি জাহাঙ্গীর”কে কেন মহরত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি করা হলো এই নিয়ে ফিল্মপাড়ায় চলছে নানা ধরনের কানাঘুষ
এই বিষয়ে জানার জন্য নির্মিতব্য ‘রঙ্গনা’ ছবির পরিচালক আরাফাত হোসাইনকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
শাবনূরের ফোনেও একাধিকবার কল করা হলেও তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।