1. mahadihasaninc@gmail.com : admin :
  2. hossenmuktar26@gmail.com : Muktar hammed : Muktar hammed
লোকেরা যা চায় তা অনুমান করতে দিন - dailybanglakhabor24.com
  • November 4, 2024, 4:11 pm

লোকেরা যা চায় তা অনুমান করতে দিন

  • Update Time : মঙ্গলবার, মে ২, ২০২৩ | রাত ১০:১১
  • 90 Time View

মুফতি মেনক

 

এক. লোকদের আপনার সম্পর্কে যা চায় তা অনুমান করতে দিন। আপনি কে এবং আপনি কে হওয়ার কথা- সে সম্পর্কে অন্য যা কিছু তারা মনে করুন না কেন তাদের সে অনুমানের জন্য আপনি দায়ী নন। আপনি কোনভাবেই তাদের থামাতে পারবেন না। আপনি আসলে কে তার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। কোনভাবে জীবন চালিযে নিন।

দুই. আমরা আজ দুঃখজনক এক অবস্থায় আছি। আমরা সমাজকে নিয়ম-কানুন পরিচালনা করতে দিই, আমরা নিজেদের ইচ্ছার শিকার হই। আমরা বিশ্বকে খুশি করা সহজ মনে করি। আমরা অন্যদের সামনে নিজেদের মহান দেখাতে চাই। আমাদের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে আমরা কি করি? তাঁকে খুশি করার জন্য আমরা কতটুকু করতে ইচ্ছুক? আসুন আমাদের কাজ একসাথে করি।

পূনশ্চ:

এক. আনন্দ ও বেদনা। সুখ ও দুঃখ। রোদ আর বৃষ্টি। ভালো দিন ও খারাপ দিন। এটাই জীবন। এই মুহূর্তে আমরা যে যাত্রায় রয়েছি তা এরকমই। মনে রাখবেন, আপনি যদি সর্বশক্তিমানকে বিশ্বাস করেন তবে দুঃখের মধ্যে দিয়ে আপনার সমাপ্তি ঘটবে না। আপনি আপনার গন্তব্যে সুন্দরভাবে পৌঁছে যাবেন। তিনিই এটি দেখবেন!

দুই. সর্বদা মনে রাখবেন যে শেষ বিচারের দিন সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনার কাজগুলি ওজন করবেন এবং সেগুলি গণনা করবেন না। পরিমাণের তুলনায় মান গুরুত্ব পাবে। তিনি দেখেন যে কী ঘটেছিল তাতে কতটা হৃদয় নিবেদিত ছিল। কে সর্বশক্তিমানের জন্যই তা করতে রাস্তায় বেরিয়েছিল এবং কে তা দেখানোর জন্য করেছিল?

তিন. কৃপাময় সময়ের পবিত্রতা নিয়ে মোটেই আপস করবেন না। কুতর্ক, গালাগাল, গিবত বা গসিপ করবেন না। কেবলমাত্র সর্বশক্তিমানের প্রতি মনোনিবেশ করুন। আরও ভাল কাজ করুন, উদারভাবে দান করুন; এমন একটি অভিপ্রায় তৈরি করুন যে আপনি ছোটখাট যা কিছু করেন তাও হবে তাঁর জন্য এবং কেবলই তাঁর জন্য!

চার. আপনার জীবনমান খুব ভালো নাও হতে পারে তবে একজন বন্ধু আপনার রয়েছে যার সবই রয়েছে। এটি যেন কোনোভাবেই আপনাকে ঈর্ষাকাতর না করে। তার জন্য সুখী হতে যথেষ্ট পরিপক্ব হন।

পাঁচ. আশপাশের লোকেরা যদি আপনার যাত্রাপথ বুঝতে না পারে তবে হতাশ হবেন না। যতক্ষণ না সর্বশক্তিমানের সাথে আপনার যোগসূত্র অক্ষত থাকে ততক্ষণ আপনি ঠিক পথেই আছেন।

ছয়. দুর্বলতা, ভুল ও ব্যর্থতা স্থায়ী হয় না, যদি আপনি তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন এবং দৃঢ়ভাবে চলতে থাকেন। সর্বশক্তিমান আমাদের কষ্টের পরে স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সাত. আপনি যদি সত্যিকারের ধনী হতে চান তবে আপনার হৃদয়কে ভালো রাখুন। সেখানে খারাপ অনুভূতি থেকে মুক্ত থাকুন এবং সর্বশক্তিমানের অসন্তুষ্টিকে ভয় পেয়ে চলুন।

পূনশ্চ:

তিনি জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটান। আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোনো অভিভাবক নেই, কোনো সাহায্যকারীও নেই।’ (সুরা তাওবা : ১১৬)

(তাহলে) তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। নিশ্চয়ই আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত কাল উপস্থিত হলে, তা বিলম্বিত হয় না। যদি তোমরা এটা জানতে!’ (সুরা নুহ : ৪)

যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে উত্তম কাজ করে? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ (সুরা : মুলক : ২)

আল্লাহই প্রাণ হরণ করেন জীবগুলোর—তাদের মৃত্যুর সময় এবং যাদের মৃত্যু আসেনি তাদের প্রাণও ঘুমের সময়। অতঃপর তিনি যার জন্য মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেন, তার প্রাণ রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।…’ (সুরা জুমার: ৪২)

তোমরা কিভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করো? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনি তোমাদের জীবন দান করেছেন। আবার তোমাদের মৃত্যু দেবেন ও পুনরায় জীবন দেবেন এবং চূড়ান্ত পরিণতিতে তোমরা তাঁর দিকেই ফিরে যাবে।’ (সুরা : বাকারা : ২৮)

তারা আপনাকে রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলুন! আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি এক আদেশ। তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দেওয়া হয়েছে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৮৫)

কিন্তু তাদের হাত যা আগে প্রেরণ করেছে তার কারণে কখনো মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহ অবিচারকারীদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। বলুন! তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়ন করো সে মৃত্যু তোমাদের সঙ্গে অবশ্যই সাক্ষাৎ করবে। অতঃপর তোমরা প্রত্যানীত হবে অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা আল্লাহর কাছে এবং তোমাদের জানিয়ে দেওয়া হবে যা তোমরা করতে।’ (সুরা জুমা : ৭-৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে, মৃত্যু আসার আগে তার জন্য প্রার্থনা না করে। কেননা সে যখন মারা যায় তখন তার আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। আর আয়ু বৃদ্ধিতে মুমিনের কল্যাণই বৃদ্ধি পায়। (সহিহ মুসলিম : ২৬৮২)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা সে যদি সৎ হয় তবে বেঁচে থাকলে হয়তো সে নেক কাজ বৃদ্ধি করবে। আর যদি পাপী হয়, তাহলে হয়তো সে তাওবা করবে।’ (সহিহ বুখারি : ৭২৩৫)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category