আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মা লিপি সিকদার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শেরেবাংলা নগর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল ফোরকানের অনুসারীদের হামলায় মেহেদী হাসান নিহত হয়েছেন বলে স্বজনদের অভিযোগ।
নিহতের মামা চয়ন অভিযোগ করেন, ‘ফোরকানের লোকজন তার ভাগনেকে হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পর্যন্ত আজ শনিবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের র্যালি কর্মসূচি ছিল। এতে যোগ দিতে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা তিনটি বাসে নেতা কর্মীদের নিয়ে বাড্ডা থেকে রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে যান। ধানমন্ডিতে র্যালি শেষে নূরের চালা থেকে আসা নেতা কর্মীরা হেঁটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পার হচ্ছিলেন। এ সময় পিকআপ ভ্যানে চড়ে র্যালিতে যোগ দিতে আসা একদল নেতা কর্মীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তাদের একজন মেহেদীর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। সে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় হাতাহাতিতে আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।
চয়ন বলেন, মেহেদী ভাটারার সোলমাইত হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ছাত্রলীগের কর্মী হলেও তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিতেন। তার মা লিপি সিকদার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেন, কর্মসূচি শেষে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়। কী নিয়ে গন্ডগোল, সেটি জানা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা মারামারি হয়। তখন মেহেদী হাসানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।