মোহাম্মদ সেলিম মিয়া
কাল রবিবার ২২শ্রাবণ। ককবিগুরুর ৮২তম প্রয়াণবার্ষিকী। এ উপলক্ষে দুইদিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)-এর রিসার্চ বিল্ডিং মিলনায়তনে শুরু হয় মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো’ দুইদিনের এই আসর।
জাতীয়সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন।
এরপর সমবেতভাবে সংস্থার শিল্পীরা পরিবেশন করে ‘আগুনের পরশমণি’ গানটি।
কবির বর্ষা বিষয়ক গানের পাশাপাশি প্রেম, পূজা ও প্রকৃতি পর্যায়ে গান ও কবিতা দিয়ে সাজানো হয় এই স্মরণানুষ্ঠান।
সংস্থার অর্ধশতাধিক শিল্পী ছাড়াও দেশের খ্যাতিমান বেশ কয়েকজন শিল্পী এই আয়োজনে অংশ নেন। প্রথম দিনের আসরে অংশ নেন ২৩ জন শিল্পী।
প্রথম দিনের আসরে খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম গেয়ে শোনান ‘আজি শরততপনে’, তানজীনা তমা গাইলেন ‘মরণ রে তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’, আজিজুর রহমান তুহিনের কণ্ঠে শোনা গেলো ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু’। রাকিবা খান লুবা গাইলেন ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’, সুস্মিতা মণ্ডল ‘এই করেছ ভালো নিঠুর হে’, শিমু দে গাইলেন. ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেলো’, প্রজ্ঞা লাবনী ‘মধ্যদিনের বিজন বাতায়নে’. সুমাইয়া ফারাহ খান ‘দীর্ঘ জীবনের পথ’, আক্তারম্নজ্জামান সবুজ গাইলেন ‘সুরের গুরু দাও গো’, নাসরিন আক্তারের কণ্ঠে শোনা গেলো ‘আজ কিছুতে যায় না মনের ভার’. বীণা দত্ত গাইলেন ‘আমার হিয়ার মাঝে’, নকুল চন্দ্র দাস ‘দাঁড়াও আমার আঁখির আগে’, বর্ষা রাহা গাইলেন ‘বিশ্বসাথে যোগে’, পরেশ চন্দ্র ভৌমিক ‘আমি শ্রাবণ আকাশে’, পারভীন আক্তার ‘ডাকব না ডাকব না অমন করে’, সাজ্জাদ হোসেন ‘কেন চোখের জলে’, আবদুর রশীদের কণ্ঠে শোনা গেলো ‘মরণের মুখে রেখে’, সঞ্জীব সূত্রধর গাইলেন ‘পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহো ভাই’, মাহযাবীন শাওলী গাইলেন ‘তুমি কি কেবলই ছবি’, দীপা চৌধুরী ‘যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু’, ড. মাশফিদা আক্তার ‘ওই মালতী লতা দোলে’ এবং বিলু সিদ্দিকী গাইলেন ‘না চাহিলে যারে পাওয়া যায়’।
আজিজুর রহমান তুহিনের পরিকল্পনায় রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুভাবনা নিয়ে গীতালেখ্য ‘তবুও অনন্ত জাগে’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উদ্বোধনী দিনের আয়োজন।
আজ একই ভ্যেনুতে শেষ হবে দুইদিনের এই আসর।