1. mahadihasaninc@gmail.com : admin :
  2. hossenmuktar26@gmail.com : Muktar hammed : Muktar hammed
যে সুরা পাঠে রিজিকের শতভাগ নিশ্চয়তা - dailybanglakhabor24.com
  • July 7, 2024, 7:54 am

যে সুরা পাঠে রিজিকের শতভাগ নিশ্চয়তা

  • Update Time : শুক্রবার, অক্টোবর ৬, ২০২৩ | দুপুর ১:৫৪
  • 29 Time View

ধর্ম ডেস্ক

অভাব মানুষকে লিপ্ত করে পাপাচারে। অসহায়তা, দরিদ্রতা নিয়ে যায় অন্ধকার জগতে। যেখান থেকে ফিরে আসতে পারে না কেউ। ক্রমে গুনাহের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হতে থাকে মানুষ। তখন মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি সে মানুষটিই অমানুষ হয়ে যায়। অথচ আল্লাহ শিখিয়েছেন কীভাবে মানুষ তার কাছে রিজিক চাইবে। গুনাহ করে ফেললে ক্ষমা চাইবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে, তাকে কখনোই দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না।
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির এ যুগে স্বস্তি পেতে আমাদের আমলি জীবন খুবই জরুরি। রাসুল সা. এমন অনেক আমল শিখিয়ে দিয়েছেন, যে আমলে দরিদ্রতা কখনোই স্পর্শ করবে না আপনাকে।
আজ কোরআনের এমন একটি অসাধারণ সুরা সম্পর্কে আলোচনা করব, নিয়মিত যে সুরা পাঠে দরিদ্রতা কখনোই স্পর্শ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে, তাকে কখনোই দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না। (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)
সুরা ওয়াকিয়ার বিস্ময়কর ঘটনা এ সুরাটি নিয়ে ইসলামের ইতিহাসে বিস্ময়কর এক ঘটনা রয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন, হজরত ওসমান (রা.) তাকে দেখতে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আপনার অসুখটা কী? হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, আমার পাপসমূহই আমার অসুখ। হজরত ওসমান (রা.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনার মন কী চায়?
তিনি বললেন, আমার পালনকর্তার রহমত কামনা করি। আমি কি আপনার জন্য কোনো চিকিৎসক ডাকব? উত্তরে হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, চিকিৎসকই আমাকে রোগাক্রান্ত করেছে।
হজরত ওসমান (রা.) বললেন, আমি আপনার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে কোনো উপঢৌকন পাঠিয়ে দেব? হজরত ইবনে মাসউদ বললেন, এর কোনো প্রয়োজন নেই। হজরত ওসমান ফের বললেন, উপঢৌকন গ্রহণ করুন, এতে আপনার পর আপনার কন্যাদের উপকারে আসবে।
হজরত ইবনে মাসউদ বললেন, আপনি চিন্তা করছেন, আমার কন্যারা দারিদ্র্য ও উপবাসে পতিত হবে। কিন্তু আমি এমন চিন্তা করি না। কারণ, আমি কন্যাদের জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি, তারা যেন প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করে। আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনও ক্ষুধার্ত থাকবে না’। (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান-২৪৯৮, তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সুরা ওয়াকিয়া প্রাচুর্যের সুরা। সুতরাং তোমরা পাঠ কর আর তোমাদের সন্তানদের শিক্ষা দাও। (আদ্দুররুল মানজুর ১৪/১৭৩) ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category