নিজস্ব প্রতিবেদক
সুইডেনের উগ্র-ডানপন্থি দলের বিতর্কিত নেতা রাসমুস পালুদান পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেন। গত ২১ জানুয়ারি স্টকহোমের তুর্কী দূতাবাসের সামনে কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি। শনিবার (১৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন দলটির নেতাকর্মীরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কোরআন আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন-এর প্রেরিত শেষ আসমানি গ্রন্থ। মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর এ গ্রন্থ নাজিল হয়। এ গ্রন্থ বিশ্ব-মুসলিমের কাছে সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ। কোটি কোটি হাফেজে কোরআন এ গ্রন্থ মুখস্থ করে তাদের হৃদয়ে ধারণ করেন। মুসলমানদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এ পবিত্র গ্রন্থের বিধান মেনেই পরিচালিত হয়। অথচ এক বর্ণবাদী ও ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তিকে পবিত্র কোরআন পোড়ানো অনুমতি দিয়ে সুইডেন সরকার চরম গর্হিত কাজ করেছে। মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে এমন ইসলাম বিরোধী কাজের অনুমতি কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি মুসলমানদের নিশানা ও পবিত্র মূল্যবোধের চরম অবমাননা। ইসমাইল হোসাইন বলেন, অবিলম্বে সুইডেন সরকারকে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিতর্কিত ব্যক্তিকে শান্তি দিতে হবে। নতুবা মুসলিম বিশ্ব সুইডেনকে চিরতরে বয়কট করবে। সুইডেন পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে চরম আঘাত করেছে। সুইডেন সরকার ইসলাম ও পবিত্র কোরআনের দুশমন কুলাঙ্গারদের প্রশ্রয় দিয়ে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। তিনি ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক সুইডেন সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব হযরত মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, হযরত মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা মহিবুল্লাহ, হযরত মাওলানা মাহবুব, মাওলানা মো. আহসানুল্লাহ, মাওলানা মো. সানাউল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল মান্নান, হাফেজ মাওলানা কারী সানাউল্লা নোয়াখালী, মাওলানা কারী আলী হায়দার মাদারীপুর, মাওলানা মুফতি সাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ প্রমুখ।