নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ‘লাইলাতুল আদালতে’ রায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন- নো বল করে সরকারকে আউট করা যাবে না। সরকারের মিডল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে পতন ঘটানো হবে। আপনাদেরকে নো বলে কিংবা এলবিডব্লিউ দিয়ে আউট করবে না। বরং মিডল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে পতন ঘটানো হবে। গতকাল বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। মানববন্ধনে বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম,বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, বিএমএ‘র সাবেক সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, সাবেক মহাসচিব ডা. গাজী আব্দুল হক, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাবের কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম,ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. এএসএইচ পারভেজ, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, নার্সেস এসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকী, ড্যাবের নেতা ডা. আবুল কেনান, ডা. শহিদুল ইসলাম বাবুল, ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. নিয়াজ শেখ রানা, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. মো. ইয়াহিয়া, ডা. আবু নাসের, ডা. এম এ কামাল, ডা. এসএম মাসুম বিল্লাহ, তাঁতীদলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রিত আদালত কর্তৃক দেওয়া রায়ে আমি বিস্মিত নই। কারণ চাঁদাবাজ কাউকে মসজিদের ইমাম বানালে চাঁদাবাজির কাজই বেশি হবে। সন্ত্রাসী কাউকে স্কুলের শিক্ষক বানালে সেখানে গণিত, ইংরেজির দিখে গুরুত্ব থাকে না। কারণ দেশ চালাচ্ছে কারা?
তিনি বলেন, এই শেখ হাসিনা তো রাতের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। মানুষ বলাবলি করেন লাইলাতুল ইলেকশন করেছেন। এখন লাইলাতুল আদালত কর্তৃক রায় দেওয়া হচ্ছে। সাগর রুনির বিচারের শুনানি ৯৯ বার পেছানো হয়েছে। আর তারেক রহমানের রায় তো দ্রুত গতিতে দেওয়া হয়েছে। সেই রায় আগেই লেখা ছিলো। সেজন্যই আমি বিস্মিত নই।
সেজন্যই তাদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা ক্যালকুলেটেড ফ্যাসিস্ট। যারা ফ্যাসিস্ট তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এভাবে তার পায়ের নিচের মাটি সরিয়ে ফেলেছেন। জনগণ কিন্তু এগুলো আর ভালোভাবে নেয়নি।
তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে রায় শেখ হাসিনার আক্রোশের প্রতিফলন। আমি এই রায় অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। না হলে আপনি যে অন্যায়গুলো করছেন পার পাবেন না।
সভাপতির বক্তব্যে ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বাংলাদেশ আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে ন্যায় বিচার নেই। যার প্রমাণ তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বরেণ্য চিকিৎসক জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অন্যায় রায় দেন। ফরমায়েশি রায় দিচ্ছেন। দেশের মানুষ ও পেশাজীবীরা এই রায় মানে না এবং মানবেনা।