নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জায়েদা খাতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, এখানে নৌকার পরাজয় হয়নি, ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম।
জায়েদা খাতুন ঘড়ি প্রতীকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগ করি। আমি এখানকার আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ব্যক্তি। মানুষ আমার মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আমি ও আমার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে একটা সুন্দর শহর গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, এ বিজয় জনগণের, এ বিজয় গাজীপুরবাসীর। এই বিজয়ের জন্য নগরবাসীকে আমার মায়ের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে নিয়েও কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, যিনি মার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, আমি বলেছি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে না, কোনো সরকারের বিরুদ্ধে না, আমি ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছি, তারপরও উনার কাছে যাবো, সহযোগিতা চাইব।
এসময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা জায়েদার ছেলে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তার মা জায়েদা খাতুনকে প্রার্থী করেন। অবশ্য তিনি নিজেও প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় তার প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কৃত হন জাহাঙ্গীর আলম।