নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, বিদেশী প্রভুদের কাছে সকাল বিকাল ধর্ণা না দিয়ে দেশের জনগণের কাছে যান। দেশের জনগণের কাছে ভোট চান। দেশের জনগণই পারবে ক্ষমতায় বসাতে, বিদেশীরা নয়। আর আমাদের শক্তি দেশের জনগণ।
সোমবার (১৯ জুন) কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উপজেলা মাঠে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, কোন বিদেশী শক্তিকে দেশের অভ্যন্তরিণ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না। আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র। আমাদের সিদ্ধান্ত নিবে দেশের জনগণ। অন্যকোন রাষ্ট্রের নাক না গলাতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি অনেকের কাছে ভালো লাগে না। তারা চায় দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে। কিন্তু একটা কথা স্পষ্ট করতে চাই, কোন ষড়যন্ত্র করে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে থামানো যাবে না। দেশের মানুষ তা মেনে নিবে না। দেশের জনগণ সাথে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।
দেশের মানুষ আবারো আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চায় উল্লেখ করে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকেই ভোট দিবে। দেশের মানুষ চায় উন্নয়ন। এখন আর ভোট চোর, দূর্নীতিবাজ বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিএনপি জামায়াত যদি কোন সমন্ত্রী কর্মকান্ড করে তাহলে সময়োচিত জবাব দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে জয় লাভের কোন বিকল্প নাই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ মহসীন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, সম্মানিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রোশন আলী মাস্টার। এছাড়া আরো বক্তব্য দেন যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।