জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, দুর্নীতি, দলবাজি, ক্ষমতাবাজি এসব নিয়ে বিএনপির কথা বলা সাজে না। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কেমন ব্যবহার করেছে সেটা আমরা সবাই জানি।
সোমবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় এলজিডির তত্ত্বাবধানে ব্রিজ ও সড়ক সংস্কার কাজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ইনু বলেন, বিএনপির সব সমালোচনার শেষ কথা হলো নির্বাচন করব না। বিএনপির সব কথার শেষ কথা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারকে আগে উৎখাত করতে হবে। যারা উৎখাত চায়, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা উৎখাত চায়, তারা পাকিস্তানের বদলি খেলোয়াড়। যারা উৎখাত করতে চায়, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে চায়। যারা উৎখাত চায়, তারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারাকে ধ্বংস করতে চায়। সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সংবিধান ও সাংবিধানিক ধারা রক্ষা করতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করা ছাড়া কোনো পথ খোলা নাই। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ নাই, যথা সময়ে নির্বাচন হবে।
প্রতিবাদ করলেই আইসিটি আইনে মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ইনু বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলসহ শতাধিক বিএনপি নেতারা প্রতিদিন অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও অকথ্য ভাষায় মিথ্যাচার করছে সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের কারো বিরুদ্ধে আইসিটি বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়নি। বিএনপির এটা ঢালাও অভিযোগ।
তিনি বলেন, যারা চরিত্র হরণ করছে, সাইবার ক্রাইম করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। কিন্তু মামলা হলেই তাকে সাজা দেওয়া হচ্ছে না। এটা যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে।
বিএনপির কয়টা নেতাকর্মী আইসিটি মামলায় কারাগারে আছেন, তার তালিকা চেয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের কথা বলছে, নির্বাচন না করার কথা বলছেন, নির্বাচন কমিশনকে গালাগালি দিচ্ছেন। মাঠের বাইরে থেকে রেফারিকে গালাগালি না করে, রেফারির ভুল-ত্রুটি না ধরে মাঠে আসেন, খেলেন এবং রেফারির ভুল ধরেন এবং প্রতিকার করেন তাতে দেশবাসীর লাভ হবে।
এসময় মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশিদ, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলীসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।