নিজস্ব প্রতিবেদক
অপরাজনীতি ছাড়তে বিএনপিকে ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এই ৩৬ দিনের মধ্যে বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাস, নাশকতার রাজনীতি ছাড়তে হবে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। নতুবা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অপরাজনীতির কালো হাত গুড়িয়ে দিব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপি যদি অস্ত্র নিয়ে আসে ঐ হাত ভেঙে দিতে হবে, আগুন নিয়ে আসলে ঐ হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর।
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী হরতাল, নৈরাজ্য ও অবরোধ প্রতিরোধে আয়োজিত সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভর করেছে ভিসানীতির ওপর আর আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তির ওপর। কারো নিষেধাজ্ঞা ও খবরদারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন চলবে না। ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা আমরা করি না।
যারা ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা দেয় তাদের দেশেই গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিছুই তারা করতে পারছে না। আমরা পরোয়া করি বাংলাদেশের জনগণকে, বাংলাদেশের জনগণ ছাড়া কোন ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা মানি না, মানব না। আমাদের নির্বাচন আমরা করব। সংবিধান বলে দিয়েছে কিভাবে নির্বাচন হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৩৬ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। ৩৬ দিনের সময় দিলাম, ঠিক হয়ে যান। বিএনপির কোমর ভেঙে গেছে।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুযোগ একটাই; নির্বাচনে আসেন। নির্বাচনে যদি না আসেন খেলার আগেই হেরে যাবেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রশ্ন রাখেন। বিএনপির পলাতক দণ্ডিত নেতা তারেক রহমানকে দেয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টির নিষেধাজ্ঞার কী হলো ফখরুল সাহেব?
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা সম্পাদক সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা, ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাদেক খান এমপি, হাবিব হাসান এমপি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।