নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম হত্যার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারী ফয়েজকে ধরতে পারেনি পুলিশ। প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরাফেরা করলেও কেন তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ, সেই রহস্যের কিনারা করতে পারেনি ভুক্তভোগি পরিবার।নিহত মাসুমের বাবা আজাদ মিয়া মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হয়তো তার কাছে থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ফয়েজকে গ্রেফতার করছে না। না হয় এখনও মাসুসের হত্যাকারী আসামি (শামীম আহমেদ ফয়েজ ) এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি কেন?
পুলিশের এমন উদাসীনতায় আওয়ামী লীগ নেতা, আজাদ মিয়া হাতাশা প্রকাশ করেছেন । সেই সাথে এলাকাবাসীর হতাশ পুলিশের রহস্যজনক আচরনে। স্থানীয়রা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, মাসুমের হত্যাকারী প্রধান আসামি শামীম কে কেন আজ পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি কোন কারণে ? অতিসত্বর আসামি শামীমকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জন্য জোড়ালো দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খুনি শামীম যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন, অনতিবিলম্বে তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দুষ্টান্তমূলক শ্বাস্তির দাবী জানিয়েছে নিহতের পরিবার । খুনি শামীমকে আর দেখতে চায় না এলাকার মানুষ। তার ফাঁসি চায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। সেই সাথে মাসুম হত্যার সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২২ মার্চ নিখোঁজ হয় মাসুম ।নিখোঁজের ৩ দিন পর সিলেটের বিশ্বনাথে আওয়ামিলীগ নেতা আজাদ মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়ার(২৫) লাশ সুরমা নদী থেকে উদ্ধার পরে পুলিশ । ২৫ মার্চ রাতে সুরমা নদীতে মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার মানুষ। পরে পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে নিখোঁজ মাসুমের লাশ সনাক্ত করে পরিবার।
আওয়ামী নেতা আজাদ মিয়া তার নিজ ভাতিজা শামীম আহমদ ফয়েজকে সন্দেহ করে ২৬ তারিখ মামলা করেছেন। আজাদ মিয়া মনে করে পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ছেলেকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, শামীম তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো।হত্যাকাণ্ডে শামীম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা জড়িত দাবী করে, তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। আজাদ মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী শামীম। আমি তার ফাঁসি চাই।