আলি জামশেদ, নিকলী, কিশোরগঞ্জ।
নিকলীতে আলীগ নেতা ও শিল্পপতি বাবাকে ইউরোপে প্রবাসী ছেলেদের মারধরের ঘটনার করা মামলাটি মীমাংসা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মহল থেকে কৌশলে চাপ দেয়া হচ্ছে! আইনি বিচারে নানানভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ বাদীর। কঠিন বিচারের দাবি তোলেন সন্ত্রাসী ছেলেদের বিরুদ্ধে এই মামলার মাধ্যমে। বিচারের আশায় বিভিন্ন মহলে পিতার ছুটাছুটি অন্ত নেই।
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে থানা আ’লীগ নেতা ও শিল্পপতি বাবাকে ইউরোপ প্রবাসী ছেলেদের মারপিটের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারির নিকলী থানার ৮ নং মামলাটি কর্তৃপক্ষ মামলা আমলে নিয়ে একজন আসামিকে তৎক্ষনিক গ্রেফতার করে। এই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি কামরুজ্জামান নজরুল সপ্তাহের শুরুতেই জামিনে বেরিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ বুধবারে কিশোরগঞ্জ আদালত থেকেও জামিন নেন পালাতক অপর আসামি তাজিরুল ইসলাম তাইজুল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার মামলার বাদী ভিক্টিম বাবাকে উক্ত মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্যে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে ঘটনার পর থেকেই। বাদীর প্রথম স্ত্রীর মেয়ের জামাতারা পর্যন্ত হুমকিধামকি দিয়ে চলেছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। এমনকি বাদীর এক ছোট ভাই পর্যন্ত নেপথ্যে থেকে সন্ত্রাসী ছেলেদের ভয়ে পরোক্ষভাবে মদদ যুগিয়ে চলেছে বলেও বাদীর অভিযোগ। এই ঘটনায় অবশেষে কিশোরগঞ্জ আদালতের আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত প্যাডে লিখিত এক নোটিশের মাধ্যমে আপোষের লক্ষ্যে একটি চিঠিও ইস্যু করেন গত ২০২৪ সালে ১০ মার্চ।
কিশোরগঞ্জ আদালতের আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের প্যাডে এই ধরনের লিখিত চিঠি পেয়ে বাদী আরও বেশি হতাশায় রয়েছেন। উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যথাযথ সময়ে উপস্থিত না হলে বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমন চিঠি হাতে পাওয়ার পর থেকে বাদী উল্টো আতঙ্কে রয়েছেন বলেও জানান নয়া দিগন্তকে। তবে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্য আদালতের অনুমতিক্রমে আপোষের চেষ্টা করা হয়েছিল তার মাধ্যমে। সেটি অনেকটা বানচাল হওয়ায় আজ পালাতক দ্বিতীয় আসামিও কিশোরগঞ্জের জেলা আদালত থেকে জামিন নেন বলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণত সম্পাদক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদী থানা আ’লীগ নেতা ও শিল্পপতি রূপালী মিয়ার ভাষ্য, আইনি কঠিন বিচার প্রার্থনার পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা কামনা করেন আদালত তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে। এই মামলায় আসামিরা এতো সহজে জামিনে আসায় তিনি এখন ভয়ে আছেন।
জামিনে আসা মামলার আসামি তাজিরুল ইসলাম তাজুল ও কামরুজ্জামান নজরুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অশোক সরকারের মোবাইল নাম্বারে একাধিক সময়ে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, আমি আইনজীবী সমিতির প্যাডে চিঠি ইস্যু করেছিলাম মূলত পিতাপুত্রের পারিবারিক ঘটনার বিষয় বলে কোর্টের অনুমতিক্রমে মীমাংসা লক্ষ্যে। এতে তার কোনো ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট নেই। বলেও দাবি করেন। তিনি আরও বলেন,বাদী মীমাংসা করতে না চাইলে আইনি বিচারের অধিকার সব সময় তার রয়েছে। বাদী প্রাথমিকভাবে মীমাংসা নাকচ করায় আজ বাকী আসামিও জামিন নিয়েছে। আদালতের উপর তার কোনোরকম হস্তক্ষেপ নেই বলেও জানান।