অনলাইন ডেস্ক: পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, সিন্ডিকেট ও কালোবাজারি বন্ধের দাবীতে এবি যুব পার্টির উদ্যোগে আজ বিকেলে বিজয় ৭১ চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এবি যুব পার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির আহবায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী; বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, গাজীপুর জেলা আহবায়ক এম আমজাদ খান, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, রিজার্ভ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় রমজান উপলক্ষে পণ্য আমদানীর প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে পারছে না ব্যবসায়ীরা; বাংলাদেশ ব্যাংক সহ তফসীলী ব্যাংকগুলো সহযোগীতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানী সম্ভব হয়নি। আমদানী করতে পেরেছে তারাই যারা সরকারের চাটুকার এবং উচ্ছিষ্টভোগী। পণ্য ক্রয়ের ক্ষমতা এখন সাধারণ মানুষের নাই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মজুদদারি, কালোবাজারি আর চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। নিদারুন কষ্টে রয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই আমরা দাবি জানাই, অবিলম্বে বিশেষ বাহিনী গঠন করে পবিত্র রমজান মাসে বাজারগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা হোক। সকল অনিয়ম দূর করে জনগণের জীবন যাত্রা সহজ করুন।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আসছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান, কিন্তু দেখছি বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত দেশে দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। গত বছর বেগুনের দাম বৃদ্ধি করে মানুষকে নির্লজ্জের মত বলেছিল: বেগুন দিয়ে কেন বেগুনি খেতে হবে, আমি তো কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানাই! এগুলো হচ্ছে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজতান্ত্রিক আচরণ।
আমরা দেখতে পাচ্ছি বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনি, ছোলা সহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, রমজান মাস এলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দ্রব্যেমূল্যের ওপর ছাড় বসানো হলেও আমাদের মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে এর চিত্র উল্টো, রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ছত্রছায়ায় প্রতিযোগিতা দিয়ে সিন্ডিকেটধারী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবনের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রে এখন গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও অবশিষ্ট নেই; গণতন্ত্রের কফিনে সর্বশেষ পেরেক ঠোঁকা হয়েছে সদ্য শেষ হওয়া সুপ্রিমকোর্টের বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে, এই সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা আবার প্রমানিত হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা বলে দিতে চাই, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে না পারলে ক্ষমতা ছাডুন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করুন। জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিবেন না, না হয় জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
সভাপতিত্বের বক্তব্যে এবিএম খালিদ হাসান বলেন, সরকারের লাগমহীন দূর্নীতির কারনে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। দূর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারনে আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে।এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সরকারপন্থি গুন্ডাদের তান্ডব তার জ্বলন্ত প্রমান। আসন্ন রমজান মাসে জনদুর্ভোগ কমানোর লক্ষ্য কালোবাজারি সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।