অনলাইন ডেস্ক
শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার দলের ব্যাটাররা সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেনি। নানা ধাপের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তানকে ১৯৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফখর জামান ও বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান।
তবে তাতে খুব একটা ক্ষতি হয়নি পাকিস্তানের। ইমাম-উল হকের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে (৮৪ বলে ৭৮ রান) অনেকটাই জয়ের কাছে চলে যায় বাবরের দল।
বাকি কাজটা করেন পাকিস্তানের উইকেট কিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দারুণ ফিফটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।
টাইগারদের দেওয়া লক্ষ্য ছুঁতে পাকিস্তানের খোয়া গেছে মাত্র ৩ উইকেট। হাতে ওভার বাকি ছিল আরো ১০.৩ টি।
অন্যদিকে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘর সামলানোর ভার নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। দুই জনের ১০০ রানের পার্টনারশিপে শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখেছিল টিম টাইগার্স।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। টপ অর্ডারের মতো টাইগারদের লোয়ার অর্ডারও ভেঙে পড়েছে তাসের ঘরের মতোই। নাসিম শাহের আঘাতে মিরাজের গোল্ডেন ডাকে যে পতনের সূত্রপাত। সেই পতন আরো শোচনীয় হয়ে শরীফুল ইসলামের আউটের মধ্য দিয়ে। শরীফুলও হয়েছেন নাসিমের শিকার।
ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতার দিনে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৯৪ রানের টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা। তিনে নামা লিটন কুমার দাস ১৬ রান করে হয়েছেন পাকিস্তানের দ্বিতীয় শিকার। এরপর সাজঘরে ফিরে গেছে মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ২৫ বলে ২০ রান করেছিলেন তিনি। তবে চারে নামা সাকিব হাল ধরেন। পাঁচে নামা তৌহিদ হৃদয় ২ রানে ফিরলেও মুশফিককে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন সাকিব। সাতে নামা শামীম হোসেনও মুশফিককে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়ে ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। ৮৭ বলে ৬৪ রান করে মুশফিক সাজঘরে ফিরলে আর কোনো টাইগার ব্যাটারই হাল ধরতে পারেননি।
৩৮.২ ওভার ব্যাট করেই অলআউট হয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। সংগ্র থামে ১৯৩ রানে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। নাসিম শাহর শিকার ৩ টাইগার ব্যাটার।