সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পাঠচক্রের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই আয়োজন সাজানো হয় কাজী নজরুল ইসলাম রচিত নিবন্ধ “যৌবনের গান” নিয়ে।
কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও পাঠচক্র বিভাগের এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। পাঠচক্রের শুরুতেই নিবন্ধটি পাঠ করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম। পরে, আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নিবাস দে, হাবিবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, কোষাধ্যক্ষ বিমল মজুমদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শরিফুল আহসান রিফাত, সদস্য মামুনুর রশিদ, নাজমুল ইসলাম প্রমুখ। “যৌবনের গান” নিবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, “বার্ধক্যকে সব সময় বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। বহু যুবককে দেখিয়াছি যাহাদের যৌবনের উর্দির নিচে বার্ধক্যের কঙ্কাল মূর্তি। আবার বহু বৃদ্ধকে দেখিয়াছি যাঁহাদের বার্ধক্যের জীর্ণাবরণের তলে মেঘলুপ্ত সূর্যের মতো প্রদীপ্ত যৌবন। তরুণ নামের জয়-মুকুট শুধু তাহারই যাহার শক্তি অপরিমাণ, গতিবেগ ঝঞ্ঝার ন্যায়, তেজ নির্মেঘ আষাঢ় মধ্যাহ্নের মার্তণ্ডপ্রায়, বিপুল যাহার আশা, ক্লান্তিহীন যাহার উৎসাহ, বিরাট যাহার ঔদার্য, অফুরন্ত যাহার প্রাণ, অটল যাহার সাধনা, মৃত্যু যাহার মুঠিতলে।”
আলোচকরা বলেন, আজীবন নিজের সব রচনায় তারুণ্যের জয়গান গেয়ে গেছেন কাজী নজরুল ইসলাম। একইসাথে দেখিয়েছেন অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদমুক্ত, ধর্মান্ধতামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। উদীচীও সেই স্বপ্ন নিয়েই সাংস্কৃতিক লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাই নজরুলের চেতনাকে ধারণ করেই আগামীতে পথ চলবে উদীচী।