দেশে ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি হয়। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন।বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পৌর শহরে সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে ত্রাণ বিতরণের পরে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেককে ঘর করে দেয়া হবে। যারা মৎস্য চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের সহায়তা দেবে সরকার। বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশে সবসময় ছিলো, আছে এবং থাকবে। এসময় আওয়ামী লীগ সরকার কলাপাড়া উপজেলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পায়রা বন্দর, পায়রা পাওয়ার প্লান্টসহ মেগা প্রকল্প এখানে করেছি আজ এলাকার মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।এখানে রয়েছে আমার পছন্দের একটি স্থান পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। আমরা সব সময় উন্নয়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলকে প্রাধান্য দিয়ে আসছি।ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি তার সুফল প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছে।
এবারের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস খুবই অস্বাভাবিক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সাইক্লোন শেল্টার করেছি, সেখানে মানুষ আশ্রয় পেয়েছে। যারা গৃহহীন, তাদের দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দিয়েছি। যে কারণে মানুষ অন্তত আশ্রয়ের জায়গা পেয়েছে। পশুপাখি আশ্রয়ের ব্যবস্থা পেয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শনের পর দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে দুপুর পৌনে ১টায় মোজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসেন প্রধানমন্ত্রী।