1. mahadihasaninc@gmail.com : admin :
  2. hossenmuktar26@gmail.com : Muktar hammed : Muktar hammed
দেশে আবারও বাড়ল সব ধরণের জ্বালানি তেলের দাম - dailybanglakhabor24.com
  • December 27, 2024, 2:32 pm

দেশে আবারও বাড়ল সব ধরণের জ্বালানি তেলের দাম

  • Update Time : শুক্রবার, মে ৩১, ২০২৪ | রাত ৮:৩২
  • 22 Time View

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে দফায় দফায় বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। বৃহস্পতিবার আবারও বাড়ানো হলো জ্বালানি তেলের দাম। জানা যায়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় লক্ষ্যে ফের ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া পেট্রোল ও অকটেনের দাম ২ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রোল ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা, অকটেন ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং ডিজেল ও কেরোসিন ১০৭ টাকায় কিনতে পারছে ভোক্তারা।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি বিভাগ জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করে। এ নির্দেশিকা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে দেশের বাজারেও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।

জানা যায়, সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল। এর আগে ৩০ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়।

ওই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে।

আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category