নিজস্ব প্রতিবেদক
টেকসই উন্নয়ন করার জন্য সূর্য শক্তির (সোলার প্যানেল) ব্যবহার বাড়াতে হবে। সূর্য শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্যই সোলারের ব্যবহার প্রতিটি ঘরে ঘরে করতে হবে। সেই জন্যই নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র তড়িৎকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আইইবির কাউন্সিল হলে ‘বাংলাদেশে নেট মিটারিং পদ্ধতিতে রুফটপ সোলারের সম্ভাবনা এবং প্রকৌশলীগণের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠানে বক্তারা এই সব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সামগ্রিক উন্নয়ন মানেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। প্রকৌশলীরা স্মার্ট প্রযুক্তি তৈরি করার পাশাপাশি সেই প্রযুক্তিটি জন-বান্ধব ও ব্যবহার সাশ্রয়ী করতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে প্রকৌশলী সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী আবিস্কারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
আইইবির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, নেট মিটারিং পদ্ধতিতে রুফটপ সোলারের প্রচার আরও বাড়াতে হবে। এই পদ্ধতিতে একজন সোলার মালিক একই সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদক। জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। আমরা যতবেশি নেট মিটারিং পদ্ধতিতে রুফটপ সোলার বাড়াতে পারি ততই বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবো।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ কাওসার আমীর আলী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)’র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম।
তড়িৎকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সম্পাদক প্রকৌশলী এস.এম. আল-ইমরান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কাজী মুশতাক উল্ল্যাহ। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, সম্মানী সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল কালাম হাজারী, প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী, তড়িৎ কৌশল বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।