মোহাম্মদ সেলিম মিয়া
না ফেরার দেশে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী জিনাত বরকতউল্লাহ। বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) । জিনাত বরকতউল্লাহর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন গুণী এই শিল্পী।
জিনাত বরকতউল্লাহ’র মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্য চর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিনাত বরকতউল্লাহ। কত্থক, ভরতনাট্যম, মণিপুরিসহ উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় নৃত্যের তিন ধারায় তালিম নিয়েও তিনি পরবর্তীতে লোকনৃত্যকেই আপন করে নেন। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২২ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
জিনাত বরকতউল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফর্মিং আর্টস একাডেমিতে। পরে তিনি শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগে পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি ২৭ বছর কর্মরত ছিলেন।
১৯৮০ সালে জিনাত বরকতউল্লাহ বিটিভির নাটক ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন। প্রায় ৮০টি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘ঘরে বাইরে’, ‘অস্থায়ী নিবাস’, ‘বড় বাড়ি’, ‘কথা বলা ময়না’ অভিনীত অন্যতম কিছু নাটক।
ব্যক্তিগত জীবনে নাট্যকার মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ২০২০ সালের ৩ আগস্ট মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান বিজরী বরকতুল্লাহ ও কাজরী বরকতুল্লাহ।