1. mahadihasaninc@gmail.com : admin :
  2. hossenmuktar26@gmail.com : Muktar hammed : Muktar hammed
জাতিসংঘ থেকে জায়েদ খানের পুরস্কার পাওয়ার তথ্যটি অসত্য - dailybanglakhabor24.com
  • July 5, 2024, 6:33 am

জাতিসংঘ থেকে জায়েদ খানের পুরস্কার পাওয়ার তথ্যটি অসত্য

  • Update Time : শনিবার, জুলাই ২২, ২০২৩ | দুপুর ১২:৩৩
  • 57 Time View

বিনোদন ডেস্ক

ঢাকাই চলচ্চিত্রের এসময়ের আলোচিত নাম জায়েদ খান। তবে চলচ্চিত্রের মানুষ হলেও অভিনয়ের বাইরের বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই যেন আলোচিত থাকতে ভালোবাসেন তিনি। প্রায় সময়ই বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সাড়া ফেলে দেয়া চিত্রনায়ক জায়েদ খান এবার ‘জাতিসংঘের পুরস্কার’ পাওয়ার খবর নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। যদিও আলোচিত এই খবরটি অসত্য বলে জানিয়েছে সমসাময়িক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা পোর্টাল ব্লিটজ।
শুক্রবার (২১ জুলাই) হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। জানা যায়, তিনি আমেরিকায় জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ থেকে জনসেবামূলক কাজের জন্য একটি পুরস্কার পেয়েছেন। সংবাদে বলা হয়, জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ছাড়াও নানা অখ্যাত পোর্টালেও খবরটি বেশ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করা হয়।
তবে আলোচিত এই বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই শুরু করে পোর্টাল ব্লিটজ। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করে এই সংবাদ মাধ্যমটি। পরবর্তীতে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জায়েদ খানের ‘জাতিসংঘের পুরস্কার’ পাওয়ার বিষয়ে ব্লিটজ জানায়, জায়েদ খান জাতিসংঘ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন এই তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কারণ পুরস্কার দেওয়া ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মূলত নিজ উদ্যোগে জাতিসংঘের একটি হলরুম ভাড়া করে বিভিন্নজনকে পুরস্কৃত করে এই প্রতিষ্ঠানটি। 
২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সংগঠনটির নামে একটি ডোমেইন ও পরে ওয়েবসাইট চালু করা হয়। কিছু পেশাদার ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে এ সংগঠনটি চালু করে এবং যাত্রা শুরুর পর থেকেই এখন পর্যন্ত অসংখ্য মানুষকে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার দিয়েছেন আয়োজকরা। এই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পুরস্কারের তালিকায় অনেক নামিদামি ব্যক্তিও রয়েছে। এমনকি এই তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামও রয়েছে।যদিও এই পুরস্কারের বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আলোচিত এই বিষয়টি নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাকালে আমার কর্মকাণ্ড ও মানবিক তৎপরতা তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তারা আমার সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড ও চলচ্চিত্রের কাজ সম্পর্কে মেইল এর মাধ্যমে জানতে চেয়েছে। আমি তাদের সব তথ্য পাঠিয়েছি। এছাড়া আমি একজন চিত্রতারকা, তাই তারা আমাকে মনোনীত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে যে সম্মাননা দেওয়া হলো তাতে আমি আবেগআপ্লুত। আমার এই অর্জন আমার দেশের জন্য।”
ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, নিউইয়র্ক ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সুইজারল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গেও অফিস রয়েছে। যদিও সুইজারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গের অফিসের কোনো সুনির্দিষ্ট ঠিকানা প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করতে পারেনি।
বিষয়টির অনুসন্ধান করতে গেলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র ব্লিটজকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের নামসর্বস্ব অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো মূলত আফ্রো-আমেরিকানরা পরিচালনা করেন। শুধু তাই নয়, অর্থের বিনিময়ে সম্মাননা দিয়ে তারা আয় করে থাকে। আর পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তারা জো বাইডেনের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের নামও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করেন।
২০২২ সালে ওয়েবসাইট চালু হলেও প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে আসছে ২০১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ড. অ্যান্ড্রিজ বেস নামে একজন এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং কার্লোস ম্যানুয়েল প্যারেজ গঞ্জালেস নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট। এটির  আন্তর্জাতিক পরিচালক হিসেবে  ফ্রেডেরিক অর্ডিন্স এর নামের এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category