নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন ছাড়া দেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থবিরোধী ও ম্যান্ডেটবিহীন এই সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। এজন্য চলমান আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষকে অধিকতর সম্পৃক্ত করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এই মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আগামী ১ মে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শ্রমিক দলের নেতারা।
এতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির সহ-শ্রমিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, ফিরোজ-উজ-জামান, শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক কোহিনুর মাহমুদ, হামিদা খাতুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভুঁইয়া, উত্তর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলমান আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষকে অধিকতর সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তারা শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সচেষ্ট নয়।
এ সময় তিনি আগামী ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশ সফল করতে শ্রমিক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে মে দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনে শ্রমজীবী মানুষ অত্যন্ত মানবেতর দিনযাপন করছে। একদিকে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, কর্ম পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শ্রমিকরা বেকার হচ্ছে; অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা।
এ অবস্থায় মে দিবসে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক ও কর্মসংকট দূরীভূত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই-সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে।