নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
খুলনায় গত দুই দিনেও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনে অনড় রয়েছে।
অভিযুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ী কর্মচারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বুধবার তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একই সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে খুলনা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
এছাড়া ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের মধ্যেই দুটি মডেল ফার্মেসি চালুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।
অপরদিকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে সোমবার রাত থেকে হাসপাতালের সামনে সকল ওষুধের দোকান বন্ধ রেখেছে ওষুধ ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, সোনাডাঙ্গা শাখার নেতৃবৃন্দ।
পাল্টাপাল্টি এ কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালে ভর্তিকৃত সাধারণ রোগীরা।
হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা প্রায় দেড়শ ইন্টার্ন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় ওষুধও কিনতে পারছেন না রোগীর স্বজনরা।
জানা যায়, সোমবার রাতে মেডিকেল কলেজের কে-৩২ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালের সামনে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধ কিনে ওই ব্যবসায়ীকে মোট দাম থেকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন।
কিন্তু তিনি তাতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেখানে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ঘটনা জানায়। পরে তারা একত্রিত হয়ে ঘটনাস্থলে এলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ওষুধের দোকানের মালিক-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ ১৫-২০ জন আহত হয়।