নিজস্ব প্রতিবেদক
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ হেসেন সাজু’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবি পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বিজয় নগরস্থ দলীয় অফিস চত্বরে আজ বিকেল ৫ টায় এক আলোচনা সভা, দোয়া ও গণ-ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নাসির আব্দুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও মজিবুর রহমান মঞ্জু। অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব মোস্তফা বিন মালেক, শাহাদাত উল্লাহ টুটুল ও যুব নেত্রী রাশিদা আক্তার মিতু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এরশাদ হোসেন সাজু শুধু নিজ এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তণে কাজ করেন নাই বরং তিনি বাংলাদেশকে বদলে দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এবি পার্টি এমন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে চায় যেখানে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য হবেন। ফিনল্যান্ডের সরকার প্রধানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন সেসব দেশে সরকার প্রধান নিজের জন্য বরাদ্দ অপ্রতুল বলে পদত্যাগ করতে চান অথচ আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি বিনা দ্বিধায় পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্য নিয়ে রাষ্ট্র্রের টাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। এই অপচয় ও জবাবদিহিতাবিহীন রাষ্ট্র কাঠামো বদলানোর জন্য তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, উত্তরবঙ্গে ক্ষতিকর তামাক চাষ রোধ করে কৃষকের অধিক লাভজনক এবং দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক ভুট্টা চাষের জন্য পুরো এলাকায় গণ-জাগরণ তৈরী করেছিলেন মরহুম এরশাদ হোসেন সাজু। তিনি কৃষকদের শুধু উদ্বুদ্ধ করেননাই তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থাও করেছিলেন। মরহুম সাজু কে জনকল্যাণ ও অধিকার ভিত্তিক রাজনীতির বাস্তব প্রতিচ্ছবি উল্লেখ করে জনাব মঞ্জু বলেন তার মৃত্যুর দিনকে ‘ভুট্টা দিবস’ হিসেবে জাতীয়ভাবে উদযাপনের যে দাবি তাকে গণদাবীতে রূপান্তরিত করতে এবি পার্টি কাজ করবে। তিনি সমস্যা সমাধানের জন্য নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণে গণ-ইফতারে অংশ নেয়া সুবিধা বঞ্চিত লোকদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাত উল্লাহ টুটুল। তারপর উপস্থিত সবাই সম্মিলিত ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।