ইফতেখায়রুল ইসলাম
একদা আমার এলাকার এক ভদ্রলোকের মালভর্তি ট্রাক খাদে পড়ে গেলে স্থানীয় জনতা তাৎক্ষণিক নিজের মাল মনে করে সব লুটেপুটে নিয়েছিলেন মাশাআল্লাহ!
এই জনতার মত তারা, আমরাই এই দেশের আনাচে কানাচে শুধু ফেরেশতাদের দেখা পাই শুধু অল্প কিছু মানুষজনকে মন্দ বলে আখ্যায়িত করি।
আমাদের চরিত্র বুঝতে আসলে বিশাল গবেষণার দরকার নাই, এই ছোটখাটো উদাহরণই যথেষ্ট!
অস্ট্রেলিয়ান ট্রাভেলার যদি ভিডিও বানিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টাকা আয় করতেও চায়, সেই সুযোগটুকু আমি দেই কেন? যে প্রক্রিয়ায় সেই ট্রাভেলার অস্বস্তিতে পড়েছেন, হেনস্তার শিকার হয়েছেন সেই একই প্রক্রিয়ায় ভিনদেশে আপনি হেনস্তার শিকার হলে ঠিক এতটা ধনাত্মক ভঙ্গিতে কি গ্রহণ করতেন এই বিষয়কে আপনি বা আপনারা? অনেকেই দেখলাম হেনস্তাকারীর পক্ষ নিয়ে নানা যুক্তি উপস্থাপন করেছেন!
এক অপরাধকে আরেক অপরাধ দিয়ে জাস্টিফাই করা আমাদের রগে রগে মিশে গেছে। নিজের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে অথবা আমাদের মাথায় হেলমেট না থাকলে আমরা আরেকজনকে দেখিয়ে বলি তাকে ধরেন না কেন তার মাথায়ও তো হেলমেট নাই! এভাবে একে, তাকে ধরতে গেলে দু’জনই যে ফুরুৎ দেবে সেটা আবার তিনি বলেন না! বড় অপরাধ সংঘটিত হলে তার যে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া সেটির সাথে দৃশ্যমান একটি অপরাধকে সাদৃশ্যপূর্ণ করে ফেলাই বোকামি!
অপরাধকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার সংস্কৃতি থেকে আমরা যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছি! পাঠ্য পুস্তকে সাধারণ আইন বিষয় পড়ানো এখন সময়ের দাবি! নয়তো ভবিষ্যত প্রজন্মের সাথে সাথেও আমাদের এই সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত থাকবে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।