সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনাদের অনেক অর্জন এই সংসদে কিন্তু আপনাদের দুর্বলতাও তো আছে। আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে একট কমিশন গঠন করেত পারেন নাই। এর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিলো সেই ষড়যন্ত্র আপনারা বের করলেন না। চরম বামপন্থি, দক্ষিণপন্থি তাদের নাম এখন উচ্চারণ করা যাবে না। কারণ তাদের নাম এখন নৌকায় উঠে গেছে। এই ভাবে দেশ চলবে না। এখনও সতর্ক হন, সামনে কিন্ত বিপদ আসছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে চলমান বিশেষ অধিবেশনের বৈঠকে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী ফিরোজ রশিদ আরো বলেন, দেখলাম আমাদের পাশে থেকে বললো যে, আমাদের সংবিধানে একটা বড় সংশোধনী আনতে হবে। কি সংশোধনী? বিসমিল্লাহ রাখা যাবে না। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রাখা যাবে না। এসব সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। তিনি আরো বলেন, আরে! একটা সেটেল্ড ম্যাটার! মাত্র ৯ মাস পরে নির্বাচন। আর নির্বাচনের এই মুহূর্তে আরেকটা নতুন ইস্যু সৃষ্টি করেন, আপনাদের উদ্দেশ্যটা কি?
জাতীয় পার্টির এই নেতা সংসদে সরকারের শরিক বামপন্থী নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা তো সহি সালামতে নৌকায় উঠে বসে আছেন। নৌকার কান্ডারি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাকেই নৌকা পার করতে হবে। নৌকা বহন করতে হবে। কিন্তু আপনারা তো নিশ্চিত হয়ে বসে আছেন, পার হয়ে চলেও যাবেন আরও ৫ বছরের জন্য।
এসময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি ছাত্রলীগ যুবলীগ করেছি। কিন্তু আমি নমিনেশন পাইনি। আমার দোষ ঘর ছেড়েছি। ঘর কি আমি ছাড়ছি? ঘর থেকে আপনারা বের করে দেবেন, আমি গাছ তলায় বসে থাকবো? এই তো আমাদের নিয়তি।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধ কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ইতিহাস বলেন ইতিহাস আমিও বলতে পারি। এই ভাবে দেশ চলবে না। এখনও সতর্ক হন, সামনে কিন্ত বিপদ আসছে। আজকে একটা বড় দল তারা নির্বাচনে আসবে না বলে দিয়েছে।
এরপর তার মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আর কী বলছিলেন, শোনা যায়নি।