1. mahadihasaninc@gmail.com : admin :
  2. hossenmuktar26@gmail.com : Muktar hammed : Muktar hammed
আন্দোলনে নেতাকর্মীদের গাফিলতি, হার্ডলাইনে বিএনপির হাইকমান্ড - dailybanglakhabor24.com
  • July 6, 2024, 10:47 pm

আন্দোলনে নেতাকর্মীদের গাফিলতি, হার্ডলাইনে বিএনপির হাইকমান্ড

  • Update Time : শুক্রবার, আগস্ট ১১, ২০২৩ | রাত ৪:৪৭
  • 50 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির চলমান সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে নেতাকর্মীদের গাফিলতিতে হার্ডলাইনে দলটির হাইকমান্ড। বিশেষ করে ২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশ মুখে অবস্থান কর্মসূচিতে দলীয় নেতাদের পারফরম্যান্সে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও কৈফিয়ত চেয়েছেন শীর্ষনেতাদের কাছে।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, দলটি সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করার আগে একটি রোড ম্যাপ করে দলের হাইকমান্ড। তারেক রহমান নিজে দলের সিনিয়র নেতাদেরসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনাও দেন। সেখানে সব নেতাই রাজপথে থাকার প্রতিজ্ঞা করেন। কিন্তু সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়ার পর ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ শেষে ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাব্যাঞ্জক।
অবস্থান কর্মসূচিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়া কোনো সিনিয়র নেতাকে মাঠে দেখা যায়নি। সহযোগী সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মত ছিল না।
অনেকের মতে সেদিন যদি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর পুলিশী হামলা না হতো তাহলে এ কর্মসূচি সুপার ফ্লপ হতো। মূলত, গয়েশ্বরের ওপর হামলার কারণেই দেশ-বিদেশে এ কর্মসূচি ব্যাপক আলোচিত হয়।
২৮ জুলাই রাজধানীতে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে বলা হয়, আপনারা যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন কেউ যাবেন না। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একদফা আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে সহযোগিতা করবেন।
নেতাদের এমন বক্তব্যে মফস্বল থেকে আসা অনেক নেতাকর্মী সেদিনের কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং মফস্বলের অসংখ্য নেতাকর্মী ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হোন। এমনকি অনেকে পুলিশ ও সরকার দলীয় সমর্থকের হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কিন্তু সেখানে রাজধানীকেন্দ্রিক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল নগন্য।
সূত্র জানায়, ২৯ জুলাইয়ের অবস্থান কর্মসূচির পর একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট করে বিএনপি। এতে কর্মসূচির দিন দলটির কোন কোন নেতা গাফিলতি করেছেন তার চিত্র তারেক রহমানের কাছে তুলে ধরা হয়।
সূত্রটি আরো জানায়, সেদিনের কর্মসূচিতে গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যে ছাত্রদলের সভাপতি পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে। বাতিল করা হয়েছে যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি। দেওয়া হয়েছে নতুন কমিটি।অনেকেই তো সেদিন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান নাম না বলার শর্তে বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সব খতিয়ান আছে। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির কমিটিও যদি ভেঙে নতুন কমিটি আসে এতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে জানান তিনি।
জানা যায়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরকার পতনের একদফা দাবিতে চূড়ান্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি। ভবিষ্যতে যাতে এ আন্দোলনে আর কেউ গাফিলতি না করতে পারে সেজন্যই হার্ড লাইনে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার পতন আন্দোলনে সবাই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে রাজপথে নেমেছেন। আন্দোলনের গতি সবসময় একরকম থাকে না। আন্দোলনে যাওয়ার আগে যা করার দরকার বিএনপি সেটাই করছে।
তিনি বলেন, ‘২৯ জুলাই আমাদের নির্ধারিত অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ সবগুলো স্পটে হামলা চালিয়েছে। সরকার রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে আন্দোলন দমাতে চায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলনে সক্রিয় আছে এবং জোরালো ভূমিকা রাখছে।আন্দোলন গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যে কয়েকজনকে পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দল যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। গাফিলতির কারণে নেতাকর্মীদের পদ থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। তবে, দলের ঊর্ধ্বতন মহল যদি দায়িত্বে অবহেলার কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, সে বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।
দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ বিষয়ে বলেন, ‘আন্দোলন ওঠা-নামা স্বাভাবিক ব্যাপার। তার মানে এই নয় যে আন্দোলন হোচট খেয়েছে। মূলত ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ দেখে সরকার বুঝে গেছে তাদের সময় শেষ। তাই ২৯ তারিখের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে তারা ভয় পেয়ে গেছে। আমাদের সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর ও আমানকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে।
সেদিনের কর্মসূচি সফল হয়েছে বলে দাবি করেন শামসুজ্জামান দুদু।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category