নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে এখনো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না ডিম। দাম কমানোর জন্য ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর পরও গত কয়েকদিনে আবারও ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীতে দুই দিন আগেও ফার্মের মুরগির ডিম ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছে।
কিন্তু এখন ১৬০ টাকার নিচে মিলছে না।
১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয় ১২ টাকা। এ দাম কার্যকরে মাঠে নামে ভোক্তা অধিদফতরসহ স্থানীয় প্রশাসন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে চালানো হয় অভিযান, জরিমানাও করা হয়। তার পরও বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হয়নি বাজারে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ডিম আমদানির অনুমোদন পাওয়া একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা ডিম দেশে এলে প্রতিটি ডিম বাজারে ১০ টাকায় বিক্রি হতে পারে।
পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ডিমের সরবরাহ কমে গেছে।
এ ছাড়া বৃষ্টি হলে বাজারে ডিমের চাহিদাও বাড়ে। তাই দামও বেড়ে গেছে। বর্তমান হিসাবে একটি ডিমের দাম সাড়ে ১৩ টাকার কাছাকাছি চলে গেছে। এতে এক ডজন ডিম সাধারণ মানুষকে নির্ধারিত দামের থেকে বাড়তি গুনতে হচ্ছে প্রায় ১৬ টাকা। নিত্যদিনের খাদ্যতালিকার অন্যতম অনুষঙ্গ ডিমের দাম বাড়ায় অসন্তোষও জানিয়েছেন ক্রেতারা।
ডিমের আড়তের ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন আড়তে আমদানি অনেক কম ছিল। এতে প্রতি ১০০ ডিমের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন আবহাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে, দু-এক দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধিসংক্রান্ত মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। গত সোমবার প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি মামলার নিষ্পত্তি করে এ জরিমানা করা হয়।
প্রতিযোগিতা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পর ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তখন এ দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি মামলায় ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে কাজী ফার্মস লিমিটেডকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযোগে আরেকটি মামলায় সাগুনা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেডকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।