নিজস্ব প্রতিবেদক
‘সরকার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের দিয়ে কারাগার পূর্ণ করে ফেলেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি আজ চলমান আন্দোলন সংগ্রামের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবি পার্টি আয়োজিত ‘প্রতীকী অনশন’ কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন। বিকেল ৩ টায় বিজয়-৭১ চত্বরে দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতীকী অনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, সরকারী হুকুমের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশ মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে ইচ্ছামত গ্রেফতার বানিজ্য করছে। রাত নেমে আসলেই ডিবি পরিচয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ীতে বাড়ীতে চলছে অভিযান। এরকম ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষনার নীল নক্সা আঁকছে উল্লেখ করে তিনি বলেন’ জনগণ এই পাপেট ইসি’র নির্বাচনী শিডিউল প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি অবিলম্বে বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত ১০ হাজার নেতাকর্মীর মুক্তি দাবী করেন।
প্রতীকী অনশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোধহয় ওনার পিতা শেখ মুজিবের ইতিহাসও ভুলে গিয়েছেন। ওনার মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা আনতে গিয়ে ওনার পিতা বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, পাকিস্তানিরা খুন করে জেলে পুরে স্বাধীনতা ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। আমরাও এই বাংলার সন্তান, কোন স্বৈরাচার জেলে পুরে, গুম করে, খুন করে আমাদেরকেও দমিয়ে রাখতে পারবেনা। বাংলার জনগণ তাদের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায় করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। জনগণ একতরফা নির্বাচনের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে তবেই ঘরে ফিরবে।
প্রতীকী অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্যসচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, দফতর সম্পাদক আলী নাসের খান, মাসুদ জমাদ্দার রানা, সুলতানা রাজিয়া, যুবপার্টির মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, উত্তরের সংগঠক আব্দুর রব জামিল।
পরে ২৮ অক্টোবর পুলিশের গুলিতে আহত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল মির্জা প্রতীকী অনশনের সভাপতি বিএম নাজমুল হককে পানি পান করিয়ে অনশণের সমাপ্তি করেন।